রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : আজ ৩১শে আগষ্ট শ্রীরামসি গণহত্যা দিবস। ৭১’র এই দিনে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের শ্রীরামসী গ্রামে পাকহানাদার বাহিনী নারকীয় তান্ডব চালিয়ে গ্রামের সহজ সরল শান্তিপ্রিয় মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। দেশ স্বাধীনের পর থেকে এই দিনটি শ্রীরামসি গ্রামবাসী শহীদের স্মরণে আঞ্চলিক শোকদিবস হিসাবে পালন করে আসছেন। যার ধারবাহিকতায় এবারও শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মাহফিল, পুস্পস্তবক অর্পন ও আলোচনাসভাসহ বিভিন্ন কর্মসচুী পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবু হোসেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৩১শে আগষ্ট সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে পাকহানাদার বাহিনী ৭/৮ টি নৌকা যোগে শ্রীরমাসি বাজারে আসে এবং স্থানীয় রাজাকারদের দিয়ে গ্রামবাসীদের কে খবর দেয় শ্রীরামসি হাইস্কুল মাঠে শান্তি কমিটির সভা আহবান করা হয়েছে। ঐ সভায় সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্য। শান্তির আশায় গ্রামবাসীরা সে দিন স্কুল মাঠে সমবেত হয়। যারা আসতে দেরী করেন তাদেরকেও ডেকে আনা হয় এর পর পাকসেনারা ১০/১২ জন করে বিদ্যালয়ের কাছে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে লাইন ধরিয়ে গুলি করে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ছাত্র, শিক্ষক, সরকারী কর্মচারী, যুবক, সাধারণ গ্রামবাসী ও বেড়াতে আসা স্বজন। নারকীয় এ হত্যাকান্ডের পরপরই পাকসেনার শ্রীরামসি গ্রামে ঢুকে গ্রামের প্রায় ২৫০টি ঘরবাড়ী আগুনে পুড়িয়ে দেয়। ভীত স্বতস্ত্র মানুষ জন গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেলে দাফনের অভাবে লাশগুলো কুকুড় শেয়াল টানা ঁেহচড়া করে। ঘটনার ৪/৫দিন পর কয়েক জন লোক গ্রামে ফিরে লাশগুলো দাফনের ব্যবস্থা করে। সেদিন হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে ১২৬জনকে হত্যা করে। শ্রীরামসি হত্যাকান্ডের বর্বর কাহিনীকে স্মরণ করে ১৯৭৩ইং সনে তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে শহীদের নাম সংবলিত স্মৃতি ফলক নির্মাণ করা হয় এবং ১৯৮৭ইং সনে শহীদ স্মৃতি সংসদ নামে একটি স্মৃতি সংসদ গঠিত হয়। স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে প্রতি বছর শহীদ স্মরণে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। এবারও অনুরূপ কর্মসূচী পালন করা হবে।
Leave a Reply